ঐক্যবদ্ধ ধাক্কায় দেশ ও গণতন্ত্রের মুক্তি মিলবে : ভৈরবে বিএনপি নেতারা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রয়াত পাঁচ নেতার স্মরণে আয়োজিত এক শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপি নেতারা বলেন, সরকারের মধ্যে চরম অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে। পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে ভোটবিহীন বর্তমান সরকারের মধ্যে। ঐক্যবদ্ধ ধাক্কা দিতে পারলেই পড়ে যাবে। মুক্তি পাবে দেশ ও গণতন্ত্র।
নেতারা বলেন, তাই দেশের সব নেতাকর্মীদের আজ সময় হয়েছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। সব ভেদাভেদ ভুলে বুকে সাহস নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ভৈরবে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রয়াত পাঁচ নেতার স্মরণে আয়োজিত এক শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলে এইসব কথা বলেন বিএনপি নেতারা।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ভৈরব উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির আহ্বাক হাজী মো. শাহিন ও সদস্যসচিব মো. মজিবুর রহমান।
এ সময় বক্তব্য দেন শহীদুল আমিন খসরু, তারেক আহমেদ, জাকারিয়া আলম মামুন, ওয়াহিদুর রহমান বানী, বাহার মিয়া প্রমুখ।
শহরের কমলপুরস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, ঢাকার সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘ঘটনার আগেই তাঁর বাবা সাবেক মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে সতর্ক করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের কথায় কান দেননি।’ পরবর্তীতে দেখা গেল, এতো নেতাকর্মী হতাহত হলেও তাঁর কিছুই হলো না। পরে যখন এফবিআই তদন্ত করতে এল, তিনি তাঁর ব্যবহৃত গাড়িটি রহস্যজনক কারণে তদন্ত করতে দিলেন না। এখন সব দায় বিএনপি, খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছেন।
নেতারা বলেন, এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিতে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাঁর কবর জিয়ারত করতে যাওয়ায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে বর্তমান সরকারের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী। আহত করেছে বহু নেতাকর্মীকে।
নেতারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি তো বহু দূরের বিষয়, বর্তমানে শোকসভা, মিলাদ মাহফিলের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিও অনুমতি ছাড়া পালন করা যায় না। এটা কেমন স্বাধীন দেশ?
আলোচনা শেষে জিয়াউর রহমান, সদ্যপ্রয়াত ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রয়াত নেতাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ভৈরবের ইতালিস্থ বিএনপির নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে হাবিবের পরিবারের জন্য পাঠানো তিন লাখ টাকা তার ছেলের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।