কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজারের টাকা ও মোবাইল চুরি যেভাবে
ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনের টিকেট নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছিলেন কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। এ সময় মাসুদের বাঁ পাশে এক ব্যক্তি দাঁড়ালেন। এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সুযোগ বুঝেই মাসুদ সারওয়ারের ওয়ালেটসহ দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মাসুদ সারওয়ার নিজেই সাংবাদিকদের বললেন, ‘আমার ওয়ালেট ও দুটি মোবাইল চুরি হয়েছে। ওয়ালেটের মধ্যে আনুমানিক ৪৬ হাজার টাকা ছিল।’
প্রায় অর্ধ শতাধিক সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ চুরির ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
বিকেলে মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার এনটিভি অনলাইনকে জানান, তখন বিফ্রিং প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাংবাদিকেরা টিকেটের আসন সংখ্যার একটি ছবি তুলছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি তাঁর বাঁ পাশে এসে দাঁড়ান। এরপর ওই ব্যক্তি মাসুদের ডান পাশে এসে টেবিলে রাখা ওয়ালেট ও দুটি মুঠোফোন নিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন।
ওই কক্ষে থাকা একাধিক ক্যামেরা ও মুঠোফোনের ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্টেশন ব্যবস্থাপক চেয়ার থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তি দুটো মুঠোফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। স্টেশন যখন ত্যাগ করছিলেন, তখন পাঞ্জাবির প্যাকেট থেকে মুঠোফোন আর ওয়ালেট বের করে দেখতে দেখতে স্টেশন ত্যাগ করেন।
ওয়ালেটের মধ্যে কী কী হারিয়েছে, তা জানতে চাইলে মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘টাকা তো গোনা ছিল না। তবে প্রায় ৪৬ হাজার টাকা ছিল ওয়ালেটে। ওয়ালেটের মধ্যে দুটি স্মার্ট ফোন ছিল। এর মধ্যে একটি সরকারি ফোন ছিল। বিষয়টি আমি জিআরপি পুলিশকে জানিয়েছি। একটি জিডি করেছি। কিন্তু, আমি ভাবছি ভিন্ন কথা। যেখানে বহু সাংবাদিক, অনেক ক্যামেরা; সেখান থেকেই চোর চুরি করল। আমি বেশ অবাক হয়েছি।’
এ সময় মাসুদ সারওয়ারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এ অবস্থার ভেতর দিয়ে যদি আপনার ফোন নিতে পারে, তাহলে অন্যদের কি হতে পারে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কমলাপুরে চুরির ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু, এভাবে! এ ধরনের চুরির ঘটনা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সতর্ক থাকার দরকার।’