কলাবাগানে চিকিৎসক হত্যা, তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জুলাই
রাজধানীর কলাবাগান গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় করা হত্যামামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) এসে পৌঁছালে বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম রাব্বানীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, রাজধানীতে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির রক্তাক্ত ও দগ্ধ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় মামলাটি করা হয়।
নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল। মামলা নম্বর ১/৯৪। তাঁদের ধারণা, চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদেরও তাই মনে হচ্ছে।’
মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান আরও বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা করতে অনেক সময় নিয়েছে। যদিও আমাদের কাজ শুরু হয়ে গেছে আগেই। মামলার আসামি অজ্ঞাত। তবে ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ তদন্ত করছে। পাশাপাশি ডিবি পুলিশও তদন্ত করছে।’
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার কলাবাগানের একটি বাসা থেকে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) ছিলেন।
গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুনের খবরে ওই বাসায় গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধোঁয়া দেখতে পান। নিহত চিকিৎসকের শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ ছিল বলে জানান তাঁরা। মরদেহ উদ্ধারের পর পিঠে দুটি ও গলায় একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ।
খবর পেয়ে সেদিনই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। তারা মরদেহ থেকে আলামত সংগ্রহ করে।