কাপ্তাই হ্রদ দখলের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা জেলা প্রশাসকের
কাপ্তাই হ্রদ দখল ও দূষণ রোধে করণীয় নির্ধারণে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার সকালে জেলা নদীরক্ষা কমিটির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় নতুন করে হ্রদ দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে হ্রদের সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ বসবাসকারীদের তালিকা জমা দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হবে। উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে প্রকল্প গ্রহণের সময় হ্রদের সীমানা বাদ দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। হ্রদের পাশে যেসব বাড়ির উন্মুক্ত শৌচাগার রয়েছে তা চলতি মাসের মধ্যে অপসারণের জন্য মাইকিং এবং যদি তা অপসারণ করা না হয় তাহলে জুন মাসে তা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব শিল্পী রানী সাহা, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ নদী রক্ষা কমিটির অন্য সদস্যরা।
সভায় বক্তারা বলেন, নাব্যতা কমে যাওয়ায় দিন দিন কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাচ্ছে, যার ফলে জেলার সঙ্গে ছয়টি উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বক্তারা হ্রদ ড্রেজিং পরিকল্পনা গ্রহণের জোর দাবি করেন এবং একই সঙ্গে হ্রদের তীরে বসবাসকারীদের শুষ্ক মৌসুমে যে দখল প্রবণতা দেখা যায়, সেই দখল রোধে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমি রাঙামাটিতে এসেছি মাত্র কয়েক মাস হলো। আসার পরই হ্রদের পানি শুকাতে শুরু হলো। বড় চ্যালেঞ্জ হলো হ্রদ দখল রোধ করা। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। আমি যত দিন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করব, কাউকে হ্রদ দখল করতে দিব না। যেখানেই খবর পাব, সেখানেই উচ্ছেদ করা হবে।
একই সঙ্গে রাঙামাটি ফিসারিবাঁধসহ জেলায় যেকোনো উন্নয়ন কাজে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।
জেলা নদী রক্ষা কমিটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সভায় উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক জানান, আগামী সভাতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিতের জন্য পুনরায় চিঠি দেওয়া হবে।