কালকিনিতে প্রতিবেশিকে মারধরের মামলায় কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের সামনে প্রতিবেশি একটি পরিবারের লোকজনকে মারধর ও হামলার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার নয়াকান্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার নয়াকান্দি গ্রামের ঝন্টু মণ্ডলের পরিবারের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর আনোয়ার বেপারির পরিবারের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায় ঝন্টু মণ্ডলের লোকজন কাউন্সিলর আনোয়ার বেপারিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এতে করে কাউন্সিলরের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ঝন্টু মণ্ডলের পরিবারের উপর হামলা চালায়।
এদিকে এ হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়- কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী রিক্তা বেগম ও তার ছেলেসহ বেশ কয়েকজন মিলে এই হামলা চালায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়- কাউন্সিলরের স্ত্রী রিক্তা বেগম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিচ্ছেন। এসময় থানা পুলিশ ও কাউন্সিলর আনোয়ার তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আনোয়ার তাঁর স্ত্রীকে দূরে সরানোর চেষ্টা করছিলেন। ঝন্টুর ছেলে উজ্জ্বল এ সময় মুঠোফোন বের করে ভিডিও করতে গেলে কাউন্সিলর আনোয়ার উজ্জ্বলের ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় একটি ইট দিয়ে উজ্জ্বলের মাথা ফাটিয়ে দেন কাউন্সিলর আনোয়ার। অপরদিকে এ হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী ঝন্টু মণ্ডল বাদী হয়ে এ হামলাকারী কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনসহ তার ছেলে রিফাত বেপারি ও ভাতিজা সাব্বির বেপারিকে আসামি করে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারিকে গ্রেপ্তার করেন। কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারির স্ত্রী রিক্তা বেগম বলেন, আমার স্বামীর উপর হামলা চালানোর কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মো. ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, প্রতিবেশি পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।