কিশোরগঞ্জে আ.লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতায় মির্জা আজমের ক্ষোভ
ঢাকা বিভাগে তো নয়ই, বাংলাদেশের কোথাও কিশোরগঞ্জ জেলার মতো সাংগঠনিকভাবে এত দুর্বল কাঠামোর জেলা আর নেই উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দেশের কোন জেলায় কিশোরগঞ্জের মতো দীর্ঘ ২৭ বছর, ২৫ বছর, ২০ বছর, ১৮ বছর ধরে বিভিন্ন থানা ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় না প্রশ্ন রেখে মির্জা আজম বলেন, এ ধরনের সাংগঠনিক দুর্বলতা আর কোথাও নেই। কিশোরগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের ২৭ বছর ধরে এবং পৌর আওয়ামী লীগের ২৫ বছর ধরে সম্মেলন হয় না।
মির্জা আজম দুঃখ করে বলেন, অথচ কিশোরগঞ্জ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের ঊর্বর ভূমি। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সফলতম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতো কালজয়ী মহান নেতাদের জন্ম হয়েছে এই কিশোরগঞ্জে। সেই কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা এত করুণ হবে, তা আমরা আশা করতে পারি না।
মির্জা আজম আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন সুখে আছে, শান্তিতে আছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, পেট ভরে খেতে পারে; শান্তিতে ঘুমাতে পারে। অতীতের চরম দুঃসময়েও আমরা এ এলাকায় নৌকাকে বিজয়ী করেছি। সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে বর্তমানে বিরাজমান দেশের ও আওয়ামী লীগের সবচেয়ে সুসময়েও যেন আওয়ামী লীগ পরাজিত না হয় সেজন্য সংগঠনকে মজবুত করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা এবং কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওসার।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান শাহজাহানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজালের সঞ্চালনায় জেলার সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।