কিশোরগঞ্জে নববধূকে হত্যায় ছয়জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নববধূ রুবা হত্যা মামলার রায়ে ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মো. শাহজাহান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রুকন (৩০), রুকনের চাচাতো ভাই শরীফ (২২), শরীফের বাবা সোহরাব (৪৫), সোহরাবের স্ত্রী জোৎস্না (৪০), মুসলিম (৫৫) ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহার (৩৫)। আসামিরা হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের গাবুরগাঁওয়ের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ জুন একই গ্রামের রুবার সঙ্গে শামীমের বিয়ে হয়। কিন্তু বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার কারণে তাঁর নিকটাত্মীয়রা এ বিয়েতে রাজি ছিল না। এর জের ধরে বিয়ের ১৫ দিন পর ৩ জুন রাতে আসামিরা রুবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবার লাশ ফেলে দেয়। ওই রাতেই তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আদালতে উপস্থিত রুবার ছোট ভাই আসাদুল হক বলেন, ‘পারিবারিক সূত্রে শামীম অনেক সম্পত্তির মালিক ছিল। তাই আসামিরা তাদের পরিবারে শামীমকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শামীম রাজি না হওয়ায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়।’
এ ব্যাপারে রুবার ভাই আলামিন বাদী হয়ে ৪ জুন রুবার স্বামীসহ সাতজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর শামীম ছাড়া অপর ছয়জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার শওকত জাহান।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।