কুষ্টিয়ায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ইজিবাইকচালক সুজন সিকদার হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের আসামি হলেন—কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়া এলাকার রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ (পলাতক)। যাবজ্জীবন পেয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজু মোল্লা ও শরিফুল ইসলাম।
মামলাসূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ দুপুরের দিকে সুজন সিকদার তাঁর ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পরের দিন দুপুরে ভেড়ামারা থানা পুলিশের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন, ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের হাশেম আলীর লিচু বাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে মরদেহটি সুজনের বলে শনাক্ত করে।
ওই রাতেই সুজনের ভাই আলমগীর সিকদার ভেড়ামারা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা করেন। ভেড়ামারা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শহিদুল্লাহ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের নামে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘সুজন শিকদারের ইজিবাইকটি চুরির পরিকল্পনা করে তাঁকে হত্যা করেন আসামিরা। আজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসাদ পলাতক রয়েছেন বলেও জানান পিপি।