কুড়িগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে বয়ে গেছে কালবৈশাখী। ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি, শত শত ঘর। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, আজ বুধবার ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই ঝড়ে কোথাও কোথাও বসতবাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। ডালপালা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা। কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়েছে।
উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের মন্টু মিয়া জানান, ভোররাতে হঠাৎ পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। ঝড়ে তাঁর গ্রামের রব্বানী, আমিনুল ও জলিলের ঘর ভেঙে গেছে। আশপাশারে অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য বজলুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ওয়ার্ডের ২০ থেকে ২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক একর জমির পাকা বোরো ধান ক্ষেত হেলে পানিতে তলিয়ে গেছে।’
উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ধলডাঙ্গা বাজার এলাকার আব্দুল বাতেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, কালবৈশাখীতে তাঁর এলাকার বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে।
শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম-পুলিশ শামছুল হক জানান, ফসলের খেতে বেশ ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর দেখা গেছে, জমিতে জমে থাকা পানির ওপর লুটিয়ে পড়েছে ধান।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কালবৈশাখীতে আমার ইউনিয়নের প্রায় ১০০ পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও দেড়শ থেকে দুইশ একর জমির বোরো ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় সেগুলো কর্তন কাজ চলছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে লাইন মেরামতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।’
চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম ফজলুল হক এনটিভি অনলাইনকে জানান, ইউনিয়নের আনুমানিক ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার সঙ্গে মুঠোফোনে চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।