কৃষকের কান্নায় ভারী সুনামগঞ্জের হাওরপার
যতই দিন যাচ্ছে, ততই হাওরপারের কৃষকের কান্নায় ভারী হচ্ছে চারপাশ। একের পর এক বাঁধ ধসে ভেসে যাচ্ছে ফসল। ফসলের সঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছে তাঁদের স্বপ্ন। একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে সারা বছরের খোরাকের চিন্তায় দিশেহারা এখন কৃষক।
আজ রোববার ভোরে ধসে পড়েছে শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের মাউতি বাঁধ। সে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে ধানখেতে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, আধপাকা ধান আগে থেকেই কাটা শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, ৫০ ভাগ ধান কাটতে পারলেও, বাকি সব থেকে গেছে হাওরে।
এ ছাড়া ধান কাটতে পারলেও তা খেতে রাখা ছিল। এখন সে কাটা ধান পানির নিচে চলে যাওয়া ঘরে তোলা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সংকট।
এলাকাবাসী জানান, ছায়ার হাওরে ১০ থেকে ১২ হাজার হেক্টর বোরো ফসল আছে। তবে প্রশাসন বলছে, সাড়ে চার হাজার হেক্টর। এ ফসলের মধ্যে প্রায় চার হাজার হেক্টরেরই ফসল কাটা হয়েছে।
এদিকে, গত দুই দিন বৃষ্টি না থাকলেও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নতুন নতুন এলাকার হাওরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঁধ না ভাঙলেও কোথাও কোথাও উপচেও পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানানা, এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। হাওরের ধান কাটার লোকের সংকট নেই। হাওর থেকে ধান কেটে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার তুলে দেওয়া হবে।
গত ২ এপ্রিল থেকে আজ রোববার পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ৯ উপজেলায় ২২ টি বাঁধ ভেঙে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাবে, এখন পর্যন্ত হাওর এলাকায় এক লাখ ১০ হেক্টর বোরো ধান কাটা হয়েছে। যদিও কৃষকদের দাবি ভিন্ন।