কেবল আইন প্রয়োগেই বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয় : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক অনেক আইন প্রণয়ন করা হলেও আমরা সমস্যার জায়গায় এখনও দাঁড়িয়ে আছি। কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব নয়। বৈষম্য নিরসনে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিকতা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুর প্রতি ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক ন্যাশনাল ইনকোয়ারি খসড়া প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, যত কথাই বলা হোক না কেন, যত আইনই করা হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তবে এই বৈষম্য রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জেন্ডার বা লিঙ্গভিত্তিক অসমতাকে সমতায় আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ফলে আস্তে আস্তে বৈষম্য দূর হচ্ছে এবং এখন সম্পদের সমান বণ্টনের দাবি উঠছে।
ইসলাম ধর্মই প্রথম নারীর অধিকার স্বীকার করেছিল। তাই বৈষম্য দূরীকরণে ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোনো ধর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না বলে আনিসুল হক মনে করেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বৈষম্য নিরসনে নারী-পুরুষ উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। এ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে হবে। কারণ গ্রামে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ বসবাস করে। সেখানেই বেশি বৈষম্য ও নারী নির্যাতন হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত আইনগুলো প্রয়োগের পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, জেসমিন আরা বেগম প্রমুখ।