কে কত বড় নেতা আমি সবাইকে চিনি : কাদের মির্জা
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘কে কত বড় নেতা আমি সবাইকে চিনি। ওয়ান ইলেভেনের পর আমি দেখেছি আপনারা কে কী? এই কোম্পানীগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত সবাইকে আমি দেখেছি।’
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক আলোচনা সভায় আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা স্থানীয় ওসিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ওসি সাহেব এগুলা কইরেন না। এখানে আইছেন, কয়দিন পর চলি যাইবেন। এ সব শয়তান আর অস্ত্রধারী ধরি এখন এসব অস্ত্র কোথায় নিলেন? এটা কোম্পানীগঞ্জের মানুষ জানতে চায়। সাংবাদিকরা লিখেছে, দেখেছে, তারা আজকে জিজ্ঞেস করতে চায়। এই অস্ত্রের খেলা আর কতদিন চালাবেন?’
কাদের মির্জা নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এমপি সাহেব, আপনি আজকে মোজাক্কের হত্যার মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন।... তবে বলে দেই, আপনি এখানে চিরস্থায়ী নন, আপনাকেও একদিন চলে যেতে হবে। আমাদের পৃথিবীটাও চিরস্থায়ী নয়, মিথ্যার খেসারত আপনাকে দিতে হবে। আজকে আমি বলল, এটা ডিজিএফআইয়ের কাছে দেওয়া হোক, তদন্ত করার জন্য। এনএসআইয়ের কাছে দেওয়া হোক তদন্ত করার জন্য। না হলে ঢাকা থেকে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি দেওয়া হোক। তাতে যদি আমি মির্জা কাদের অপরাধী হই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারপরও মোজাক্কের হত্যার বিচার যাতে জজ মিয়াদের না হয়।’
সংসদ সদস্যকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ‘অস্ত্রবাজি বন্ধ করেন। বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা সচেতন হোন, অস্ত্রবাজ কারা চিহ্নিত করেন। আমার কোনো ছেলে যদি অস্ত্রবাজি করে, কাউকে লাগবে না, তাকে ধরে থানায় আমি দিয়ে দেব। আপনি আমাকে দেখায়ে দেন, আমার কোনো ছেলে যদি অস্ত্র নিয়ে ঘোরে। আমি অস্ত্রের রাজনীতি করি না। আমি রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের, আমি রাজনীতি করি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের। আমি কারো কাছে মাথা নত করব না। আমি কাউকে ভয় করি না। উপরে আল্লাহ আর আমার নেত্রী শেখ হাসিনা। এই দুই ছাড়া আর কিছু নাই।’
‘৪৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যাদের পুনর্বাসিত করেছি, আজকে তারাই আমার বিরুদ্ধে, কেন? আমি মাদকের বিরুদ্ধে বলেছি। বলেছি, একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলা ভাষাভাষির কাছে আমার একটা ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে। এটা আপনারা বরদাস্ত করতে পারছেন না।’
এ ছাড়া বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি কইছি আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন এখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। দেশের কোথায় কি হচ্ছে আমি জানি না। আজকে এজন্য ষড়যন্ত্র করছেন। আপনাদের ষড়যন্ত্র এদেশের জনগণকে দাবায়া রাখতে পারে না।’
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।