গভীর সমুদ্র থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরলেন লক্ষাধিক জেলে
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন, কুতবদিয়া, মহেশখালী থেকে সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হোটেল-মোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি গভীর সাগর থেকে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে (ঘাটে) আনা হয়েছে। এতে উপকূলের নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন লক্ষাধিক জেলে।
আজ শনিবার (১৩ মে) কক্সবাজার জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতি সাংবাদিকদের জানান, সরকারের নির্দেশনার পরপর আজ সকালের মধ্যে ছয় হাজার ট্রলার ঘাটে পৌঁছে।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির আগেই শহরের বাঁকখালী নদীসহ টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়ার ঘাটে ছয় হাজার ট্রলারের লক্ষাধিক জেলে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। আর কোনো ট্রলার আপাতত সাগরে নেই।’
জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলার কক্সবাজার শহর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার আছে পাঁচ হাজার ১১৩টি। এসব ট্রলারে এক লাখের বেশি জেলে শ্রমিক থাকলেও তার মধ্যে মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭৬৪।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনসংলগ্ন সুতিয়া বাজার লঞ্চঘাটের পাশে অর্ধশতাধিক মাছ ধরার নৌকা ভিড়েছে। নৌকায় থাকা জেলেরা জানান, সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেড়ে গেছে।
এদিকে, খুলনার সুন্দরবন এলাকার জেলে-বাওয়ালি ফেডারেশনের সভাপতি মীর কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সুন্দরবনের নদ-নদী, খালের পানি বাড়তে শুরু করায় ও সমুদ্র উত্তাল থাকায় গতকাল থেকেই সুন্দরবনের জেলে-বাওয়ালিরা নিরাপদ উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন। সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ, কোবাদক, বানিয়াখালী, নলিয়ান ফরেস্ট স্টেশন থেকে অনুমতি নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া তিন শতাধিক নৌকা ফিরেছে। এখনও গহীন সুন্দরবনে অনেক নৌকা আছে।’ সেসব নৌকার জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।