গোপালগঞ্জে প্রবাসীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে সৌদি প্রবাসী কামাল ফকিরকে (৩৫) হত্যার দায়ে আসামি চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু মোল্লাকে (৫২) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আসামি চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু মোল্লার বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের তিতা গ্রামে। আসামি চাঁন মিয়া পলাতক।
মামলা বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৭ মে কাশিয়ানীর তিতাগ্রামের চাঁন মিয়া একই গ্রামের মো. শাহাদত ফকিরের ছেলে সৌদি প্রবাসী কামাল ফকিরের কাছে ধান কাটা বেগারের (বিনামূল্যের শ্রম) কথা জানায়। কিন্তু কামাল ফকির বেগারে ধান কেটে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়। এরই জের ধরে পরের দিন ১৮ মে একই গ্রামের ইসমাইল মোল্লার স্ত্রীর কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে কামাল ফকিরের বাবা মো. শাহাদত ফকির, ছোটভাই মিরাজ ফকিরসহ আরও কয়েকজন চান্দু মোল্লার বাড়ির কাছাকাছি ফাকা জায়গায় পৌঁছালে আসামি চাঁন মিয়াসহ তার দলীয় লোকজন তাদের পথ রোধ করে। এ খবর পেয়ে কামাল বিকেল সাড়ে তিনটায় বাড়ি থেকে দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে চাঁন মিয়া ও তার লোকজন কামালকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় কামালের বাবা মো. শাহাদত ফকির বাদী হয়ে চাঁন মিয়াসহ ২৪ জনকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা হামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআইয়ের পরিদর্শক ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
সন্দেহাতীতভাবে আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু মোল্লাকে ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে অপর ২৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন বিচারক।
এ মামলার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী নিহত কামাল ফকিরের বাবা মো. শাহাদত ফকির ও বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান খান পিটু। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।