চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণ’ : একজনের জবানবন্দি, পাঁচজন রিমান্ডে
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণীকে (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার এক যুবক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই মামলায় আরও পাঁচ আসামির তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিনা এই আদেশ দেন।
জবানবন্দি দেওয়া আসামি হলেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সুমন (২৪)। এ ছাড়া রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের মো. আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনা এলাকার সাজু (২০), একই এলাকার সোহাগ (২৫), বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার মনোয়ার (২৪)।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেক আসামিকে তিনদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। এ ছাড়া এক আসামি জবানবন্দি দিচ্ছেন।
আসামিরা সবাই আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কের পরিবহন শ্রমিক। অপরদিকে ভুক্তভোগী নারী নারায়ণগঞ্জে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি সেখানেই স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে থাকেন। তাঁর স্বামীর বাড়ি লালমনিরহাটে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণীর বোন মানিকগঞ্জে বসবাস করেন। তিনি গতকাল শুক্রবার ছোটভাইকে নিয়ে বোনের বাসায় মানিকগঞ্জে বেড়াতে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার জন্য তিনি একটি বাসে ওঠেন।
রাত ৮টার দিকে তরুণী ও তাঁর ভাইকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখানে তিনি অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছু পরে নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের চালকের সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে তাদের জানায়, মিনিবাসটি টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত যাবে। জনপ্রতি ভাড়া হবে ৩৫ টাকা। এরপর গার্মেন্টশ্রমিক মিনিবাসে উঠেন এবং গন্তব্যের আগেই বাসের অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর চালক বাসটি নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে রওনা হন। এ সময় বাসের জানালা ও দরজা আটকে বাসের চালক ও সহকারীসহ ছয়জন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
এ সময় ওই ছয়জনকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ওই ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।