চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক যাত্রীর ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে, দক্ষিণাঞ্চলের কোনো লঞ্চ না থাকায় লঞ্চঘাটে হাজার হাজার যাত্রী অপেক্ষমাণ। অনেক যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে  ফিরে গেছেন। আবার কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছেন। লঞ্চ না পেয়ে হাতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী। গন্তব্যে পৌঁছাতে বিকল্প লঞ্চ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে আসা কিছু যাত্রী। সকাল থেকে অপেক্ষা করেও লঞ্চ পাচ্ছেন না তাঁরা।

এদিকে, ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী সব লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ছে। যাত্রী নিরাপত্তায় বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছে।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে বরিশালের যাত্রী ইউসুফ ও ভোলার যাত্রী আকলিমাসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে সাগরিকা এক্সপ্রেস করে দুপুরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এসেছে। চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তার লঞ্চের দেখা পায়নি। দু-একটি লঞ্চে এসেছে কিন্তু যাত্রীবোঝাই থাকায় তারা উঠতে পারেনি।

যাত্রীরা আরও জানান, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে—রাতে লঞ্চ আসবে। যদি লঞ্চ না আসে তবে, বিকল্প লঞ্চের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি তাদের।

এ বিষয়ে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রীসেবায় আমরা সর্বদা সজাগ রয়েছি। ঢাকা থেকে চাঁদপুর এবং চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী সব লঞ্চযাত্রী নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে পারছে। তবে, দক্ষিণাঞ্চলের কিছু যাত্রী লঞ্চের অপেক্ষায় রয়েছেন। আশা করছি, লঞ্চগুলো এলেই তাঁরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে। এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের আমাদের সহায়তা করতে হবে।’