চুরি-ডাকাতির অভিযোগ না নিলে থানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ডিবি
রাজধানীতে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই বা ডাকাতির মতো ঘটনা। ফলে, চুরি বা ছিনতাই হলেই মামলা করার পরামর্শ দিচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আর থানা পুলিশ মামলা নিতে না চাইলে অথবা গড়িমসি করলে, ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে ডিবির পক্ষ থেকে।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ছিনতাই বা ডাকাতি হওয়ার পর যদি কোনো থানায় ভুক্তভোগীর অভিযোগ বা মামলা নিতে গড়িমসি করে, তাহলে সরাসরি ডিএমপিতে অভিযোগ করুন। ওইসব থানার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিএমপি কমিশনারের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই, মলম ও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। ডিবি পুলিশও বিশেষ করে ঢাকায় দস্যুতা, ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনারের দিক-নির্দেশনায় রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগ গত বুধবার ও শুক্রবার বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাতি ও দস্যুতার প্রস্তুতিকালে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ২৭ জনই পেশাদার ছিনতাইকারী ও ডাকাতদলের সদস্য। গ্রেপ্তার ২৭ জনের বিরুদ্ধেই চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে মো. মাহবুব আলম বলেন, তারা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করতেন। এরপর যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক উপাদান প্রয়োগ করতেন। পরে ওই যাত্রীকে অচেতন করে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন।
মো. মাহবুব আলম বলেন, ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। বিশেষ করে যারা ছিচকে চোর-ছিনতাইকারী আছেন, তারা রাস্তায় মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের অধিকাংশই মাদকসেবী।
মো. মাহবুব আলম আর বলেন, ছিনতাই হওয়া এসবের ফোনের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় ব্যবহার হচ্ছে। আর এগুলো করার জন্য একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালেব প্লাজা ও গুলিস্থান এলাকায় যে কেউ গেলে, তাদের মোবাইল আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
মাহবুব আলম বলেন, এবার আমরা পরিকল্পনা করেছি, যারা এ ধরনের চোরাই মোবাইলের কারবার করেন, আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি করেন, যাদের মাধ্যমে এসব হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আমরা অভিযান পরিচালনা করবো। শুধু দেশীয় মার্কেট কিংবা শপিংমলগুলোতে নয়, চোরাই মোবাইল দেশের বাইরেও পাচার হচ্ছে। যেমন ছিনতাইকৃত আইফোনগুলো যাচ্ছে দেশের বাইরে।