চূড়ান্ত আন্দোলনেই সরকারের পতন ঘটানো হবে : ১২ দলীয় জোট
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি না মানলে ও সব রাজবন্দির মুক্তি না দিলে, চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। আজ শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীর বিজয়নগরের আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তারা।
১২ দলের নেতারা বলেন, ‘আমারা জনগণের কল্যাণের জন্য আন্দোলন করছি। আজকে নব্য স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে রোজার মাসেও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। কারণ এই সরকারের আমলে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো রোজা রাখতে পারছে না। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষ খেতে পারছে না। মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। অতএব এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তারা আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেই সু্যোগ দেশের মানুষ আর দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ক্বারি আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) নেতা অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির নেতা আবুল কাশেম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা শওকত আমিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খান আসাদুর রহমান প্রমুখ।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘রোজার মাসে আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। এই সরকার মানুষের বার স্বাধীনতা ও বেঁচে থাকার অধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই অঘটন ঘটিয়েছে। ১৯৯৬ সালে তারা সচিবালয়ে আমলাদের উসকানি দিয়ে বিদ্রোহ ঘটিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। কোনো সুষ্ঠু বিচার করতে পারেনি। ২০১০-২০১১ সালে সাধারণ মানুষের টাকা শেয়ার বাজার থেকে লুটে নিয়েছে।’