চেয়ারম্যানের ছেলেদের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলেসহ আহত ৩
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহর ছেলেদের হামলায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি তোফাজ্জুল হকের ছেলেসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার দুপুরে সাদেকপুর হাইস্কুল সংলগ্ন দরগা মসজিদের সামনে। যদিও এটিকে ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে দাবি করেছেন সাফায়েত উল্লাহ।
জানা গেছে, তোফাজ্জুল হক ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে ভোটার আউডি কার্ডের জন্য ছবি তুলতে এলাকায় যান তোফাজ্জুল হকের ছেলে তানভিরুল হক রাফি (১৮), তাঁর ভাতিজা আফরাজুল হক (১৮) ও ভাতিজি তাজিন হক (২২)। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার সাফায়াত উল্লাহর ছেলেদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে তারা ছবি তোলা শেষে ভৈরবে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে এলে বর্তমান চেয়ারম্যানের তিন ছেলে নাহিদ, জাহিদ, রাহিমসহ তাদের সঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বিএনপিনেতা ও সাদেকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জুল হক বলেন, ‘আমি পরিবার পরিজন নিয়ে ভৈরবে বসবাস করি। আজ সাদেকপুর ইউনিয়নে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তোলার নির্ধারিত দিন ছিল। আমার ছেলে রাফি তার দুই চাচাতো ভাইবোন নিয়ে ছবি তোলার জন্য এলাকার স্কুলে গিয়েছিল। ছবি তুলে অটোরিকশায় করে ফেরার সময় বর্তমান চেয়ারম্যানের তিন ছেলে নাহিদ, জাহিদ, রাহিমসহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে অটোরিকশা থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে লাঠিসোটা, রড দিয়ে বেদম মারধর করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তারা আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ভাতিজা-ভাতিজিও আহত হয়েছে।’
চেয়ারম্যান সরকার সাফায়াত উল্লাহর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি—ছেলেরা ঘটনার সময় ধাক্কাধাক্কি করে ঝগড়া করেছে। এ সময় আমার পক্ষের ছেলেরাও আহত হয়েছে।’ বিষয়টি তুচ্ছ ঘটনা বলে তিনি দাবি করেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালসহ এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতের স্বজনরা মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’