জনগণ জানে কীভাবে আ.লীগকে বিদায় করতে হয় : খন্দকার মোশাররফ
দেশের জনগণ জানে, কীভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে হয়—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শনিবার (৪ মার্চ) যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডে নবী টাওয়ারের সামনে থানা বিএনপির পদযাত্রার আগে সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। বিএনপি এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না এবং নির্বাচন হবে না। এ দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে, এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তাদের বিদায় করতে না পারলে দেশের মানুষ বাঁচবে না।’
খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, ‘যত দ্রুত এ সরকারের বিদায় হয়, ততই এদেশের কল্যাণ। আমরা ১০ দফা দাবি দিয়েছি। আমাদের দাবি মানা না হলে, দেশের জনগণ জানে, কীভাবে তাদেরকে বিদায় করতে হয়।’
২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে কেন? কারণ, তারা জানে—যদি জনগণ ভোট দিতে পারে, তাহলে তাদেরকে টেনে গদি থেকে নামিয়ে দেবে। তাই তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের ভোট রাতে করেছে। তারা জানে, জনগণ যদি দিনে ভোট দিতে পারে তাহলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা অর্থ পাচার করছে দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার ও তার নেতাকর্মীরা দেশের সম্পদ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মধ্যবিত্ত গরিব হয়ে গেছে, গরিব আরও গরিব হয়েছে। তারা দুবেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। তারা জনগণের সরকার না। জনগণের সরকার না বলেই, তারা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে না।’
বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে কঠোর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘স্বৈরাচারী এরশাদকে বিএনপির নেতৃত্বে পতন করা হয়েছিল। আগামী দিনেও এই সরকারের পতন করার জন্য যে আন্দোলন সংগ্রাম আসবে তার জন্য সবাই প্রস্তুত থাকবেন।’
যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব নবীউল্লাহ নবী, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাদল সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য জামশেদুল আলম শ্যামলসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।