জনসেবায় কাজ করলে শান্তি পাবেন, ডিসিদের প্রধানমন্ত্রী
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) জনসেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এতে কাজ করে শান্তি পাবেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে জনমুখী মনোভাব ও মানুষকে সেবার দেওয়ার যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্ব অনেক। শুধু চাকরি করা না, জনসেবা দেওয়া। এটা ছিল সংস্থাপন মন্ত্রণালয়। আমি নাম দেই; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নামেরও একটা প্রভাব থাকে। আপনাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন। দুর্যোগে মানুষের জন্য যে মানুষ, সেটা আপনারা প্রমাণ করেছেন। করোনায় আপনজন পাশে না থাকলেও আপনারা ছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা না এলে আমরা অনেক দূরে এগিয়ে যেতাম। যুদ্ধের ফলে পণ্যের দাম এত বেড়ে গেছে যেটা ক্রয় করাই আমাদের জন্য কঠিন। এজন্য সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলেছি।’
বর্তমান সরকারের শেষ জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন এটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডিসিদের উদ্দেশ্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্মেলন ২৬ জানুয়ারি শেষ হবে।
গত রোববার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে এ সম্মেলনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রীতি অনুযায়ী সব জেলার ডিসিদের কাছ থেকে প্রস্তাব নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া গত ডিসি সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো থেকে সংগ্রহ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কার্য অধিবেশনগুলো গত সম্মেলনের মতো এবারও রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।’
কার্য-অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকেন। সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনাররা রীতি অনুযায়ী লিখিতভাবে মাঠ প্রশাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে প্রস্তাব দেন। অধিবেশনের সময় এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের মাঠ প্রশাসন তৃণমূলের জনগণের ভাবনাগুলো কেন্দ্রকে অবহিত করবেন। এ আলোকে সরকারের নির্দেশনা ডিসিগণ মাঠ প্রর্যায়ে নিয়ে যাবেন।
এবারের সম্মেলনে ২৬টি কার্য অধিবেশনে ২৪৫টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।