জমে উঠেছে ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন
দীর্ঘ নয় বছর পর আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগেই প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ ও জমজমাট প্রচারণায় জমে উঠেছে পৌর এলাকা।
আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক ১৭ জনের একটি তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। তারা হলেন প্রয়াত সাবেক এমপি ইমাম উদ্দিন আহমেদের ছেলে সাইফুল আহাদ সেলিম, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ফারুক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হাসান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শাহ ইসতিয়াক আরিফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অমিতাভ বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায়, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউল হাসান মিঠু, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার মঞ্জুর আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খলিফা কামাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম নীরু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ, রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের সাবেক জি এস রাশেদুজ্জামান রেশাদ এবং সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক জামালউদ্দিন কানু।
তবে এ তালিকায় নাম নেই বর্তমান মেয়র শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ মাহতাব আলী মেথুর।
এ বিষয়ে মাহতাব আলী মেথু বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই ১৩ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল। তার কোনো কার্যকরিতা নেই। আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছি।’
অপরদিকে, বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, শহর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে কিবরিয়া স্বপন এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গি।
এদিকে, এ নির্বাচনকে ঘিরে ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দিনরাত দৌড়ঝাঁপ করছেন। পৌর এলাকার পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে এখন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা কে হতে চলছেন আগামী দিনের মেয়র ও তাদের এলাকার কাউন্সিলর?
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুর পৌরসভায় বর্ধিত এলাকা সমন্বয়ে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে।
২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৮৬ এবং নারী ৭৬ হাজার ৫৭১ জন।