জাবি কলেজের ছাত্র হৃদয় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শাহীন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কলেজের ছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের ঘটনার অন্যতম আসামি শাহীন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শনিবার (২০ মে) সকালে র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রামরায়পুর এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শাহীন জেলার পোরশা উপজেলার ঘাটনগর মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অপহরণকাণ্ডে শাহীন বাবু ও পরাণসহ চারজন জড়িত। বাকিদের আগে গ্রেপ্তার করা হলেও গতকাল শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহরণকারী পরাণ ও নিহত হৃদয় দুজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। পরাণ দরিদ্র হলেও দুই বন্ধু একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। হৃদয়ের পারিবারিক অবস্থা ভালো থাকায় তাকে অপহরণ করে পরিবারের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করে পরাণ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৮ মে দুপুরে খাবারের পর আড্ডা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে হৃদয়কে আটকে রাখে। হৃদয়ের ব্যবহৃত মোবাইলফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দীর্ঘ সময় পরও মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শাহীন, পরণাসহ চারজন সংঘবদ্ধভাবে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। সন্ধ্যায় মরদেহ বস্তাবন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল থেকে রিকশায় করে শ্রীপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। পরে আসামিরা আত্মগোপন করেন।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৮ মে হৃদয় নিখোঁজ হলে তার বাবা ফজলুল মিয়া আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করে ও র্যাব-৪ সাভার ক্যাম্প বরাবর একটি অভিযোগ করে। এরপর র্যাবের গোয়েন্দা দল অপহরণকারী পরাণ, বাপ্পি ও তাদের অন্যান্য সহযোগীর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ১৮ মে পরাণকে গ্রেপ্তার করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাপ্পি, আকাশ ও শাহীনের সহায়তায় কলেজছাত্র হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে গতকাল শুক্রবার মহাদেবপুর উপজেলা থেকে হৃদয় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি শাহীন বাবুকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।