জাল টাকা-ইয়াবাসহ প্রধানমন্ত্রীর ভুয়া পিএস গ্রেপ্তার
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) পরিচয়দানকারী প্রতারক আবদুল মতিন চৌধুরীকে জাল টাকা ও ইয়াবাসহ লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১১।
আজ সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবন প্রাঙ্গণে র্যাব-১১-এর অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামিম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে রামগতির চরগাজী ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১ এর ভাষ্যমতে, মতিনের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা, এক লাখ ৩৯ হাজার টাকার (৫০০ টাকার নোট) জাল নোট, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি সিল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১০টি ভুয়া প্যাড, দুটি খাম উদ্ধার করা হয়। এ সময় মতিনের আইডি কার্ড জব্দ করা হয়। শিক্ষকতা যোগ্যতা প্রথম শ্রেণি দাবি করলেও তাঁর কাছে এইচএসসি পাশের ভুয়া সনদ পাওয়া গেছে। তিনি নিজেকে বিভিন্ন জনের কাছে সুযোগ বুঝে প্রধানমন্ত্রীর পিএস, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ও এমপি-মন্ত্রীদের কাছের লোক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করতেন। তার নাম আবদুল মতিন চৌধুরী হলেও নিজেকে বিভিন্ন সময় মতিন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মিজানুর রহমান মতিন ও মিজানুর রহমান মুতিন নামে পরিচয় দিতেন। তার বাবার নাম আবদুর রব হলেও তিনি প্রফেসর কামরুল মাস্টারের ছেলে হিসেবে পরিচয় দেন।
র্যাব-১১-এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার খন্দকার মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘মতিনের বৈধ কোনো পেশা নেই। তিনি পেশাদার প্রতারক। জাল টাকা ও মাদক ব্যবসায়ী। গ্রেপ্তারের ঘটনায় তার নামে রামগতি থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।’