জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে রুল শুনানি শুরু
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) জাহাঙ্গীর আলমের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেছি। আগামী ২৮ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করবেন।
গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে ক্ষমা করা হয় বলে জানা যায়। ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত জাহাঙ্গীরকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/অব্যাহতি প্রদান করা হয়।’
গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান সবুজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে যেসব অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, যে অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আগেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।