ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে ১১২ এনজিওর সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের চুক্তি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/10/26/munnujan-sufian.jpg)
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে নির্বাচিত ১১২টি এনজিওর সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনা হবে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে এনজিওগুলোর নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সবার সহযোগিতায় আমরা ২০৩০ সালের আগেই শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে পারব। আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম মুক্ত করতে চাই। আপনি কর্মকে ফাঁকি দিলে কর্ম আপনাকে ফাঁকি দিবে। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসককে প্রধান করে মনিটরিং কমিটি করে নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আকতার ও প্রকল্প পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন এবং এনজিও প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে দুজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীর সামনে এনজিওদের পক্ষ থেকে বিয়ানমনি সোসাইটির চেয়ারম্যান বেগম নাজনীন ইসলাম চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে এনজিওগুলোর পক্ষে নিজ নিজ প্রতিনিধি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
২৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে এক লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনা হবে। তাদের উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের এ সময়ে শিশুর বাবা-মাকে মাসিক সম্মানী দেওয়া হবে এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী শিশুদের স্বাবলম্বী করতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।