ফুটবলের উন্নয়নে জুটি বেঁধেছে বাফুফে-বিএসআরএম
গত কয়েকদিন ধরে দেশের ফুটবলে আলোচনা ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) লোগো কেন হলুদ হয়েছে! তার উত্তর মিলেছে। বাফুফের সঙ্গে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ গড়েছে দেশের বৃহৎ স্টিল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম। এই চুক্তির অংশ হিসেবেই হলুদ ক্যাম্পেইন করা হয় ফেসবুকে।
দেশের ফুটবলের নতুন হাওয়ায় অনেকেই যুক্ত হচ্ছেন। স্পন্সর বাড়ছে, বিনিয়োগ বাড়ছে। বাফুফে নিত্য-নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। তবে, ফুটবলের উন্নয়নে বিশাল কলেবরে এর আগে কেউ যুক্ত হয়নি। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচেছে।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাফুফে ভবনে বাফুফে ও বিএসআরএমের মধ্যে ১০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, সহ-সভাপতি ও বিপণন বিভাগের প্রধান ফাহাদ করিম, বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলিহুসেইনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা।
আমের আলিহুসেইন বলেন, ‘আমরা মনে করি, আমরা দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড (বিএসআরএম)। আর ফুটবল বিশ্বের এক নম্বর খেলা। আমাদের দেশকে যদি আমরা দেখি, ঐতিহাসিকভাবে আমরা ফুটবলপ্রিয় দেশ। আমাদের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা কম। কিন্তু যদি দেখি, দেশে ফুটবলের অনেক সম্ভাবনা আছে। একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের ফুটবলকে সমর্থন দিতে চাই। যে কারণে বাফুফের ডেভেলপিং পার্টনার হওয়া।’
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই ফুটবল ফেডারেশনের মাধ্যমে দেশের ফুটবল শক্তিশালী হয়ে উঠুক। নিরাপত্তা, সচেতনতা ও খেলোয়াড়দের মানোন্নয়নের পাশাপাশি একটা স্থায়ী জায়গায় নিতে চাই।’
ডেভেলপিং পার্টনারের সঙ্গে মূলত কী কাজ করবে বাফুফে, এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘১০ বছরে আমরা চেষ্টা করব, প্রতি বছরে একটা ক্যালেন্ডার করতে, যে আমরা কী করব। সেটি কতটা ইমপ্যাক্ট ফেলবে ফুটবলে এবং আমাদের সমাজে। আপনারা জানেন আমাদের ইতোমধ্যে চলমান কয়েকটি প্রকল্প আছে। নারী ক্ষমতায়ন, নিরাপত্তা, মানসিক শক্তি বাড়ানো। এসব সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। অনেক ‘সি’ লাইসেন্সধারী কোচ আমরা গড়ে তুলেছি। তাদের মাধ্যমে ভবিষ্যতে স্কাউট ট্যালেন্ট হান্টিং হবে। ছোট ছোট টুর্নামেন্ট দিয়ে বড় টুর্নামেন্ট আমরা করতে পারব। সেই কাজটিও ডেভেলপিং পার্টনারের মাধ্যমে করতে চাই।’
পরবর্তীতে প্রশ্নোত্তর পর্বে ফাহাদ করিম বলেন, ‘১০ বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে বিএসআরএমের সাথে। প্রথম ৫ বছর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে। আলোচনার প্রেক্ষিতে পরের ৫ বছরের আর্থিক পরিমাণ বাড়ানো হবে। সেই কথাও হয়েছে।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক