ঢাকায় অনুমোদনহীন ক্লিনিক নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে কোনও অনুমোদনহীন ক্লিনিক চালু নেই। আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে টেবিলে প্রশ্নোত্তর উপস্থাপন করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনুমোদনহীন বেসরকারি ক্লিনিকের সন্ধান পাওয়া গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করাসহ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান তাঁর প্রশ্নে রাজধানীতে বেসরকারি ক্লিনিক ও অনুমোদনহীন ক্লিনিকের সংখ্যা জানতে চান। জবাবে স্থাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪৮৪।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘সরকার অনুমোদিত বেসরকারি ক্লিনিকের নাম ও ঠিকানা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।’
হাবিব হাসানের আরেক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত পরিদর্শন টিম কর্তৃক নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। এ সময় অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তসাপেক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃদ্ধদের চিকিৎসায় জেরিয়াটিক বিভাগ (বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসা সেবা বিভাগ) চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওই বিভাগে শিগগিরই ৬৫ বছর ও তাঁর বেশি বয়সের রোগীদের আধুনিক চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। উপজেলা হাসপাতালকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান আছে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয়তার আলোকে দেশের সকল ৫০ শয্যায় উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’