দিনাজপুরে নতুন খনির সন্ধানে জিএসবি
দিনাজপুরে নতুন খনির অবস্থান নিশ্চিত হতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)।
লোহার আকরিক, তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদের সম্ভবতা যাচাইয়ে এরই মধ্যে পার্বতীপুর উপজেলার ৭ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর মৌজায় শুরু হয়েছে কার্যক্রম। সেখানে আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ। সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে ঝোলানো হয়েছে সাইনবোর্ড। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই উদ্বোধন করা হবে খনন কাজ।
এর আগে গত বছরের ২ এপ্রিল চিরিরবন্দর উপজেলার ১০ নম্বর পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় একটি খনির সন্ধানে খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। প্রায় এক মাস পর চলে যান ভূতত্বের কর্মকর্তারা।
তারও আগে ২০০১ সালে একই জেলার পার্বতীপুরের আমবাড়ীতে তামার খনি পাওয়ার আশায় কূপ খনন করা হয়েছিল। এবার কুতবপুরের ওপর অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী জিএসবি কর্মকর্তারা।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুতুবপুর চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের আকতার, হবিবর রহমান হবি এবং কানছিয়া মণ্ডলের জমিতে এ খনন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী ছাউনি, তার দিয়ে বেড়া ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই অঞ্চলকে সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভূ-গর্ভের অভ্যন্তরে সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য কূপ খননের প্রস্তুতি শুরু করেছে দপ্তরের একটি অনুসন্ধানী দল।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক খনন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো কিছু না জানানোর নির্দেশনা আছে। এতটুকু বলতে পারি যে, জিএসবি’র ডিজি এই কূপ খনন কাজ উদ্বোধন করবেন।’
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ৭ নম্বর মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান প্রামানিক জানান, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (ভূতত্ত্ব) পরিচালক মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসককে দেওয়া একটি চিঠির অনুলিপি পেয়েছেন।
চিঠিতে কুতুবপুর এলাকায় কূপ খনন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আনুষঙ্গিক সহায়তা, নিরাপত্তা, তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ, যাতায়াত, পথপ্রদর্শনসহ সব ধরনের সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করা হয়েছে। ওই চিঠির অনুলিপি পুলিশ সুপার, পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বতীপুর থানা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়েছে।