সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি সূত্র এনটিভি অনলাইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত সিদ্ধিরগঞ্জে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ রয়েছে সাবেক মেয়র আইভীর দুই ভাই আলী রেজী রিপন ও আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সাততলা বিশিষ্ট এক বিশাল বাড়ি, নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী চিত্তবিনোদন ক্লাব ভেঙে সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ একর জমি দখল করে সেখানে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। উক্ত সম্পদ ও দুর্নীতি ব্যতীত সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নামে এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি ও তার নিকট আত্মীয়দের নামে থাকা সম্পদের অনুসন্ধান করবে সংস্থাটি।
সূত্রটি আরও বলছে, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে আবুল হোসেনকে নিয়োগ করা হয়। আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার নামে নারায়ণগঞ্জে রয়েছে চার-পাঁচটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া সাবেক মেয়র আইভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফ হোসেনকে তার পদে পদায়ন না করে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তার গাড়িচালকের নামে নারায়ণগঞ্জে বরফকল ও পানির কল এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এ ছাড়াও আরও অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে বলে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।