দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার সাবেক যুবলীগনেতা মো. খলিলুল্লাহ আজাদ মিল্টনের প্রতারণা, হুমকি-ধমকি ও হয়রানির শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন খেটে খাওয়া কয়েকজন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মো. নুর আলম। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পূর্ব বাসুলিপাড়ার হাবিবুল্লাহ আজাদের ছেলে সাবেক যুবলীগনেতা মো. খলিলুল্লাহ আজাদ মিল্টনের কাছে বিভিন্ন সময়ে় অর্থনৈতিকভাবে প্রতারণার শিকার  হয়েছি। তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের সঙ্গে প্রতারক মিল্টনের সু সম্পর্ক থাকায় সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা কাজকর্ম পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে় নিয়েছেন মিল্টন। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক থাকায় বিষয়টি আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। মিল্টনের সঙ্গে টাকা লেনদেনের পর যখন আমরা বুঝতে পারি প্রতারিত হয়ে়ছি, তখন এ ব্যাপারে খানসামা থানায় একাধিক অভিযোগ ও মামলা করেছি তার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অভিযোগ ও মামলায় আজও কোনো সুষ্ঠু বিচার পাইনি আমরা। মামলা করার পর মিল্টন আমাদের মামলাগুলো তুলে নিতে হুমকিধমকি দেয়। এরই মধ্যে আমরা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাদের পুলিশের সোর্স উল্লেখ করে আমাদের ফাঁসিয়ে় মহামান্য উচ্চ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। তার এই মিথ্যাচারের কারণে আমাদের মামলাগুলো ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে বলে আমরা এখন শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তৎকালীন ডিসির সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে মিল্টন এলাকায় দাপট খাটিয়ে় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। যা এখন জনসম্মুখে প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা এমন লোকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর শাস্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান জিয়া, মো. হেলাল, মো. বুলবুল, ভজেন্দ্র নাথ রায় ও মো. ফরহাদ।