দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে শপথ নেওয়ার আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
দেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে তা উদ্ধারে শপথ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে আমাদের সকলকে শপথ গ্রহণ করতে হবে। এদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরে এসে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সেই দায়িত্ব বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলকে নিতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ রোববার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক করে জনগণকে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
মোশাররফ হোসেন বলেন, এ সরকার শুধু গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু দেশের কোনো সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। গণতন্ত্র হত্যা করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানির ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। আজকে সারা দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ গুলোতে জনগণের সমর্থনে তা প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, ফরমায়েশি রায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তারেক রহমানকে বিদেশে থাকতে হচ্ছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই জন্মদিন পালন করছি। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁকে সুস্থ রাখেন এবং দীর্ঘায়ু দান করেন। জনগণের যে প্রত্যাশা, সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশে সঠিক রাজনীতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমান এদেশে জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে স্বনির্ভর, উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার যে কর্মসূচি নিয়েছিলেন, এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি শাহাদাত বরণ করেছিলেন। যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে দেশের জাতীয়তাবাদের শক্তিকে ধ্বংস করে দেবে; তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়ে খালেদা জিয়া বিএনপির পতাকা তুলে ধরেছিলেন। সেজন্য জনগণ বিএনপিকে সমর্থন করে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। ঠিক একইভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মিথ্যে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজকে তিনি গৃহবন্দী। ঠিক একইভাবে তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে এই সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার প্রমুখ।