বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন আর নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। পুরুষের তুলনায় নারী বেশি ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৭ জন।

আজ রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিসংখ্যান ও তথ্যব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ গণনাকৃত ও পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।  

জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। পিইসিতে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) আরও ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ পল্লীতে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।

প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ১৫-২১ জুন ২০২২ সময়ে পরিচালনা করা হয়। শুমারি সম্পন্নের মাত্র এক মাসের মধ্যে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি সম্পন্নের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কন্টেন্ট নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) কর্তৃক অক্টোবর ২০২২ সময়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে জনশুমারি ও গৃহগণনা পরবর্তী যাচাই (পিইসি) জরিপ পরিচালনা করা হয়।