দেশের বৃহত্তম চালের মোকামে আকাশচুম্বী ধানের দাম, খুশি কৃষক
দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ধানের দাম এখন আকাশচুম্বী। সেখানে ধানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে চালের দামও। এতে কৃষকেরা খুশি হলেও বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
আশুগঞ্জ মোকামে গিয়ে দেখা গেছে, নতুন ৪৯ ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়, পুরাতন ২৯ জাতের চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৭০ থেকে এক হাজার ২১০ টাকায় এবং পুরাতন ২৮ চিকন জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩১০ টাকা থেকে এক হাজার ৩২০ টাকায়।
আশুগঞ্জ মোকামের ধান ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘এখানকার কৃষকেরা এখন বেশ সচ্ছল। ফলে তারা ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি না করে রেখে দেয়। ফলে মূল্য বেড়ে যায়।’
ধান ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, ‘যেখানে আশুগঞ্জ মোকামে প্রতিদিন ধানের আমদানি হতো ৫০ থেকে ৬০ হাজার মণ, সেখানে বর্তমানে আসছে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার মণ।’
তবে, ধান বিক্রি করে খুশি কৃষকেরা। আজ শনিবার সকালে আশুগঞ্জ ধানের মোকামে গেলে কথা হয় কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা থেকে আশুগঞ্জ মোকামে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক জিবু মিয়ার সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ৩০০ বস্তায় ৬০০ মণ ধান বিক্রি করতে আশুগঞ্জে আসি। মণপ্রতি চিকন ২৮ ধান এক হাজার ২১০ টাকায় বিক্রি করেছি। এতে আমি খুশি।’
ধানের আকাশচুম্বী দামের বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ চাতালকল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ভুলু হায়দার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আশুগঞ্জে চার শতাধিক চাতাল রয়েছে। এসব চাতালে প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার মণ ধান প্রয়োজন। চাহিদা অনুযায়ী ধানের আমদানি কম। এ জন্য আশুগঞ্জে ধানের মূল্য অনেক বেশি। এ অবস্থায় ধানের মূল্য কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুবীরনাথ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি আশুগঞ্জ ধানের মোকাম পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শন শেষে ধান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছি। সেখানে ধান ও চাল নিয়ে কোনো সিন্ডিকেটবাজ চলবে না বলে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ খাতে ন্যূনতম অনিয়ম করলে ছাড় দেওয়া হবে না। কোনো অনিয়ম পেলে সে যেই হোক না কেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’