ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার অভিনেতা সোহেল খানের ছেলের : পুলিশ

পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন নাট্যাভিনেতা সোহেল খানের ছেলে মুশফিকুর রহমান খান সফল (২৫)। প্রথম দিনের পুলিশি রিমান্ডে ৩২ বছর বয়সী এক নারীর করা অভিযোগ স্বীকার করেছেন সফল। পুলিশের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে।
গত রোববার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি আইন ও ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন ৩২ বছর বয়সী এক ভুক্তভোগী নারী। মামলা করার পর দিন অর্থাৎ সোমবার সফলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ মুশফিকুর রহমান খান সফলের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায়। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল মঙ্গলবার ছিল রিমান্ডের প্রথম দিন। এ দিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।
ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মুশফিকুর রহমান খান সফলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রিমান্ডের শেষ দিন। আগামীকাল তাকে পুনরায় আদালতে তোলা হবে। গতকাল মঙ্গলবার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভুক্তভোগী নারীর করা অভিযোগের বেশ কিছু প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আপত্তিকর ভিডিও ধারণের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার সঙ্গে সফলের সংশ্লিষ্টতা আমরা পেয়েছি। এসব অভিযোগ সফল স্বীকারও করে নিয়েছেন।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সফল খানের সঙ্গে মাটিকাটা এলাকায় পরিচয় হয় ভুক্তভোগী তরুণীর। সে সময় বোনের বাসায় থাকতেন অভিযুক্ত সফল। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হতো। একপর্যায়ে তাদের বন্ধুত্ব হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাসা পরিবর্তনের পর ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সফল খানের বোন সেই বাসায় যেতে বলে। যাওয়ার পর সফল এবং ওই তরুণীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে রাখেন সফল খান। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় সফল খান উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। এরপর ওই তরুণীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ধর্ষণের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
সফল খান টাকা না পেয়ে ওই তরুণীর চাচি ও চাচাতো ভাইয়ের মোবাইলে সেই ভিডিও পাঠিয়ে দেন। একপর্যায়ে নিজের স্ত্রী দাবি করে ওই তরুণীর স্বামীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হত্যার হুমকি দেন।