ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জেলহাজতে
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে করা এক মামলায় রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত যুবলীগনেতা মামুনুর রশিদ মামুনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক নুরুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৬ জুন ভুক্তভোগী ওই নারী বরকল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। আদালতের সমন জারি হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ। কিন্তু উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বললেও অভিযুক্ত চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। আজ বিকেলে আত্মসর্মপণ করে জামিন আবেদন করেন মামুন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এ ঘটনায় বরকল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মামুনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
তবে বরাবরই এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ ও ‘রাজনৈতিক’ বলে দাবি করে আসছিলেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ।
জানা যায়, মামুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে এর প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন টানা হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছিল সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। এমনকি বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেননি। এর ফলে ফের ওইসব ওয়ার্ডে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ছাড়া এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের পৃথক দুটি গ্রুপ বিরোধের কারণে পাল্টাপাল্টি একাধিক সংবাদ সম্মেলন করেছিল। এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি গঠনও পণ্ড হয়ে গিয়েছিল। ফলে রাঙামাটির সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠিত হলেও এই উপজেলায় এখনও কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।