নওগাঁর সাপাহারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ
নওগাঁর সাপাহারে ভুল চিকিৎসা ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জুলেখা (১৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ মে) সন্ধ্যার দিকে উপজেলা সদরের দি পপুলার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ উপজেলার পাইকড়ডাঙা গ্রামের মেহেদী হাসানের স্ত্রী।
ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে জুলেখার প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কিন্তু দি পপুলার ক্লিনিকে কর্মরত লোকজন ফুঁসলিয়ে তাদের ক্লিনিকে ভর্তি করান। ভর্তির পর প্রসূতির লোকজনদের ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানান, স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চা প্রসব হবে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোন ডাক্তার বা প্রশিক্ষিত সেবিকা ছাড়াই অদক্ষ মেয়ে দ্বারা জরায়ুর মুখ কেটে বাচ্চা প্রসব করান ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। জন্ম হয় ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তানের। জরায়ুর মুখে তিন থেকে চারটি সেলাই দিলেও রক্তক্ষরণ হতেই থাকে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাদের লোকজন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ডাক্তার ডাকতে বললে ডাক্তার আসবে আসছে বলে পাঁয়তারা করতে থাকেন। কোনো ডাক্তার না ডেকে নিজেরাই চিকিৎসা করান। পরে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রোগীর খিঁচুনি উঠে মারা যায়। তবে শিশুটি সুস্থ আছে।
এ ব্যাপারে ক্লিনিক মালিক খাদেমুল ইসলাম বলেন, রোগীর খিঁচুনি রোগ ছিল। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, রোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করলে মামলা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।