নরসিংদীতে পালোয়ান ও শেরখানই সেরা
নরসিংদীর চরাঞ্চলে শখের বশে আওলাদ হোসেন লালন পালন করেন বড় আকৃতির দুটি গরু। আদর করে নাম রাখেন ‘পালোয়ান’ ও ‘শেরখান’। লালন পালনে যত্নের কোনো ত্রুটি করেননি খামারি। খাওয়ান দেশীয় খাবার। এবারের ঈদে আকর্ষণীয় এই দুটি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন সদর উপজেলার নজরপুর গ্রামের সৌখিন খামারী আওলাদ হোসেন।
প্রায় ৩২ মণ ওজনের পালোয়ানের দাম ১৩ লাখ ও ২৮ মণ ওজনের শেরখানের দাম ১২ লাখ টাকা হাঁকছেন মালিক। তবে তাঁর বাড়ি থেকে যদি কেউ কোরবানির জন্য এই গরু দুটি কিনতে চান সেক্ষেত্রে থাকবে বিশেষ ছাড়।
আওলাদ হোসেন জানান, দুই বছর আগে ব্রাহমা জাতের একটি ষাঁড় গরু ও সাত মাস আগে ফ্রিজিয়ান জাতের আরও একটি ষাঁড় গরু কিনে পালন শুরু করেন। আদর করে প্রথমে কেনা গরুটির নাম রেখেছেন শেরখান। পরে কেনা অপরটির নাম রাখেন পালোয়ান।
মাঠের সবুজ ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি দেশীয় খাবার খৈইল, কুড়া, সয়াবিন, চাউলের খুদ, ছোলা, ভুষি ও খড় খাইয়ে লালনপালন করা হয়েছে পালোয়ান ও শেরখানকে।
মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ও পশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। খামারি আওলাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা অনেক যত্নে পালন করেন গরু দুটিকে। দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করা ও আকর্ষণীয় হওয়ায় বিশাল আকৃতির গরু দুটি দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। কেনার জন্য বাড়িতে আসছেন ক্রেতারাও। করছেন দর কষাকষি। কালোর মাঝে অল্প সাদা রংয়ের পালোয়ানের বর্তমান ওজন প্রায় ৩২ মণ, উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট এবং সাদার মধ্যে অল্প কালো রংয়ের শেরখানের ওজন ২৮ মণ, উচ্চতা ৬ ফুট।
খামারী বলেন, ‘আমি নিজে একা উদ্যোগী হয়ে গরু দুটি লালন পালন করছি। কোরবানির ঈদকে ঘিরে চেষ্টা করবো বাড়ি থেকেই পালোয়ান ও শেরখানকে বিক্রির জন্য। বাড়ি থেকে যারা কিনবেন তাদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। আমি যদি এই গরু দুটি বিক্রি করে লাভবান হতে পারি তাহলে হয়তো অন্যরা এমন গরু পালনে আগ্রহী হবে।’
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আওলাদ হোসেন একজন সৌখিন খামারি। তিনি প্রতি বছরই এমন বড় ধরনের একাধিক গরু প্রতিপালন করেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে গরু দুটি লালন পালনের জন্য কাঁচা ঘাসের পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন খাবারের মিশ্রণ খাওয়ানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি সেভাবেই কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই গরু দুটি বড় করেছেন। আমার জানামতে জেলায় এই দুটি গরু এবার কোরবানির জন্য সবচেয়ে বড় গরু।’