নরসিংদীর চার উপজেলায় বজ্রাঘাতে এক নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও তিন কিশোর। আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) জেলার রায়পুরা, মনোহরদী, শিবপুর ও সদরে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের মোমরাজ মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার (৪৫), নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে জাবেদ মিয়া (১২), মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামের মৃত বাদল মিয়ার ছেলে রায়হান মিয়া (২৫), শিবপুরের দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩০) ও নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দাপাড়া মহল্লার সুকুমার রায়ের ছেলে সুপ্ত রায় (১৪)।

জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে মনোহরদীর নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুরে ফুটবল খেলছিলেন কয়েকজন কিশোর। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে জাবেদ, শিমুল, রিয়াজুল ও হাসান নামে চার কিশোর আহত হয়। এদের মধ্যে জাবেদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।

নিলক্ষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান শামীম বলেন, ‘বাচ্চারা মাঠে ফুটবল খেলছিল। বজ্রপাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটল। খেলতে গিয়ে শিশু মারা যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

একই সময় একই উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পাতরদিয়া গ্রামে রায়হান মিয়া নিজের বাড়ির পাশের ঈদগাহ মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বজ্রাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে, তাকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দৌলতপুর  ইউপি চেয়ারম্যান শরিফ মাহমুদ খাঁন বাহালুল বলেন, ‘রায়হানের বাবাও কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল। আজকে সে বজ্রাঘাতে মারা গেল।’

এ ছাড়া নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দাপাড়া মহল্লার পুকুরে গোসল করতে গেলে বজ্রাঘাতে মারা যায় সাঠিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সুপ্ত রায়।

এদিকে, শিবপুরের দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের খোকন মিয়া মাঠে কাজ করছিল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। ওই সময় বজ্রাঘাতে খোকন মারা যায়।

এর আগে, আজ সকালে খড়ের গাদা তৈরি করার জন্য বাড়ির পাশের একটি জমি থেকে খড় আনতে যান শ্রীনগর ইউনিয়নের ফকিরের চর গ্রামের সামসুন নাহার। এ সময় বজ্রাঘাতে মারা যান এই নারী।

শ্রীনগর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়।’