নিউ মার্কেট এলাকা ফের থমথমে, ককটেল বিস্ফোরণ
নিউ মার্কেট এলাকার সড়কে আবারও দুপক্ষ অবস্থান নিয়েছে। ঢাকা কলেজের ভেতরে ও সামনের সড়কে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেটের দোকানিদের মধ্যে নতুন করে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, দোকানি-শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্য কোনো পক্ষ মিলে পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে, এ ধরনের তথ্য তাদের কাছে আছে। ফলে, পুলিশের এক শিফটের ডিউটি শেষ হয়ে গেলেও তাদের নিউ মার্কেট এলাকায় রেখে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরিফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের কথা আমরা শুনেছি। ঢাকা কলেজের ভেতরে ছয়টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এ সংবাদ পাওয়ার পর আমরা বিস্তারিত খবর জানার চেষ্টা করছি।’
জানা গেছে, নিউমার্কেটে সংঘর্ষ নিয়ে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে সড়কে নেমেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসেন। এ সময় কয়েকটি বাজি ফাটানোর আওয়াজ শোনা যায়। এ ঘটনায় মিরপুর রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা একতরফাভাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংঘর্ষের পেছনে তাদের দায়ী করেছেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দায়ী করে ব্যবসায়ীদের দেওয়া এ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিউমার্কেটের সব দোকান বন্ধ রাখতে হবে।
এদিকে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে নিউমার্কেট থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা শাহিনুর আক্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে আবার হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যবসায়ী বা দোকানি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্য কোনো পক্ষ মিলে এই হামলা চালাতে পারে। তবে, এ ব্যাপারে আমি আর বিস্তারিত জানি না। এ শঙ্কার জায়গা থেকে ঘটনাস্থলে ওসি স্যার, তদন্ত ওসি স্যার, ওসি অপারেশন আছেন।’
‘আশঙ্কার জায়গা থেকে পুলিশের শিফটিং টাইম শেষ হয়ে গেলেও তাদের এখনো নিউমার্কেট এলাকায় রেখে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুপুর দুটায় যাদের নতুন করে ডিউটি শুরু হয়েছে, তারাও ওখানে আছেন। এ ব্যাপারে আমাদের স্যারেরা জানেন আরও ভালো জানেন’, যোগ করেন শাহিনুর আক্তার।