বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলসি জিরো মার্জিন অথবা ন্যূনতম মার্জিন করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাস পর সেই পণ্যের বকেয়া পরিশোধ করতে পারবেন। এলসি ওপেনের কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বুধবার রংপুর ডায়াবেটিক সমিতির উন্নয়নমূলক কাজ পরিদনর্শন করে সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আমদানি নির্ভর পণ্য ডাল, তেল, চিনি এগুলোর দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দাম বেশি। তবে, দেশে কৃষিজাত পণ্যের দাম কম রয়েছে। আগামী দু-তিন মাস এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই যতদিন পর্যন্ত প্রয়োজন ততদিন টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানির ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা বিবেচনা করে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে, রেমিট্যান্সের টাকা কম দেওয়া হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। সে হিসাবে ডলারের মূল্য ধরে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। তাই অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মুদ্রাস্ফীতি কম রয়েছে। আমদানি ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাশ্রয়ী হতে বলেছেন। বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের শতকরা ৪০ ভাগ বিদ্যুত খরচ কম হয়েছে। বর্তমানে আমদানি ও রপ্তানি সূচকের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করা হচ্ছে।’