নোয়াখালীতে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের সংবাদ সম্মেলন
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ ও জেলা অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনের আগে এ নিয়ে একটি প্রতিবাদ সভাও হয়। সেখানে নোয়াখালী সদর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদদু পিন্টু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামসুদ্দিন জেহান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান, যুবলীগের আহ্বায়ক বাবু ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন সাহেদ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী সদর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, আবদুল কাদের মির্জা যদি আমাদের সংগঠনের নেতা, কর্মী বা সমর্থক হয়ে থাকেন তাহলে বসুরহাট পৌরসভায় নির্বাচনে প্রচারে তিনি যেসব মন্তব্য করেছেন তা কি নির্বাচনি প্রচার অভিযানের বক্তব্য, নাকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে নতুনভাবে রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দিতে চান তা আমরা এখনো সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারিনি।
আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘উনি (আবদুল কাদের মির্জা) বক্তব্যে বলেছেন, শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার দিয়েছেন, কিন্তু ভোটের অধিকার দেননি। এটা কি নেত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য হয়নি?’
এ সময় নেতারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মন্ত্রী ও এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা মিথ্যা, অশোভনীয় আচরণসহ বিভিন্ন মন্তব্য করে দলের মধ্যে অস্থিরতা ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
নেতারা এসব আচরণের কারণে কাদের মির্জাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব ঘটনায় বিব্রত হলেও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জেলার নেতৃবৃন্দ হতাশা প্রকাশ করেন।

মো. মাসুদ পারভেজ, নোয়াখালী