নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের নৌপথকে পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত করতে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, “নদীমাতৃক বাংলাদেশকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; আরও এগিয়ে যাবে। নৌপথ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে; নৌপথের অনেক সম্ভাবনা আছে।”

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) ঢাকার একটি হোটেলে ছয়টি প্রকল্পের নির্মাণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “নৌপথের আরও উন্নয়নে প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় যেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।” 

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। কুচক্রি মহল পদ্মা সেতুর স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল। তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সফল হয়েছেন। বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাগুলো দেখেছে বাংলাদেশ অর্থের অপচয় করে না, সক্ষমতা আছে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা আনন্দিত। বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে আছে। পদ্মা সেতু নিয়ে কুচক্রিরা ব্যর্থ হয়েছে, আমরা জয়ী হয়েছি। বিশ্বব্যাংক-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাংক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করার জন্য নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংক কর্তৃপকক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি নুসরাত নাহিদ ববি।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রগুলোতে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. আয়ুব আলী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেডের প্রতিনিধি মুকিতুর রহমান, এনডিই লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান মুস্তাফিজ ও দায়েং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে জি হো ইউম।