পরিবহণ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে ভৈরবে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহণ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ ১০টিরও বেশি আভ্যন্তরীণ রোডে গণপরিবহণ চলাচল না করায় ওইসব পথে যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছতে তারা বিকল্প হিসেবে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে অধিক ভাড়ায় চড়তে বাধ্য হন। কেউ কেউ অটোরিকশা, পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতেও দেখা গেছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানায়, বিকল্প পরিবহণে চড়ে তাদের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ নির্ধারিত সময়ের অনেক বিলম্বে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। অপরদিকে নারী ও শিশুদের নিয়ে যাত্রা তাদের খুবই ভোগান্তিতে ফেলছে।
এদিকে, সকাল থেকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড়ে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে স্থানীয় পরিবহণ শ্রমিকদের। তারা স্বল্পপাল্লার বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপভ্যান, সিএনজিতে যাত্রী পরিবহণে বাধা দেয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে।
অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট, ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রাম-ভৈরব-ময়মনসিংহ রেলপথে যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি ট্রেনে উপচেপড়া যাত্রী এবং টিকেট কাউন্টারগুলোতে লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো।
যাত্রীরা অভিযোগ করে টিকেটের স্বল্পতা এবং আন্তনগর ট্রেনগুলোতে স্ট্যান্ডিং (দাঁড়িয়ে থাকা) টিকেট না থাকায় তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।