পার্থ গোপালের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ১২ এপ্রিল
ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় বরখাস্তকৃত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেন। তাঁর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ১২ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে পার্থর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৬১, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও মানি লন্ডারিং আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
পার্থ গোপাল বণিক চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি প্রিজন থাকার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন, এমন অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ। পরে ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ টাকা বাসায় রয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে নিয়ে রাজধানীর ভূতের গলির বাসায় অভিযান চালাতে যায় দুদক।
এ সময় পার্থর স্ত্রী ডা. রতন মনি সাহা গেট না খুলে পাশের ভবনের ছাদে টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ ছুড়ে ফেলেন। দুদক কর্মকর্তারা সেই দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে ৫০ লাখ টাকা পান। পরে দুদক কর্মকর্তারা বাসার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার কথা বললে পার্থর স্ত্রী গেট খুলে দেন। দুদক বাসার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
তবে এসব দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত নয় বলে দাবি করেছেন ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপাল বণিক।
দুদক পরিচালক ইউসুফ দাবি করেছেন, পার্থর বাসা থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা অবশ্যই ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত। তিনি জানিয়েছেন, এ ছাড়া পার্থর আরো কিছু অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।