পিএইচডি গবেষণা জালিয়াতি রোধে কমিটি গঠন হাইকোর্টের
পিএইচডি গবেষণা জালিয়াতি রোধে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। কমিটির সদস্যদের আগামী তিন মাসের মধ্যে পিএইচডি গবেষণা জালিয়াতি রোধে নীতিমালা তৈরি করে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
কমিটিতে শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাবির কম্পিউটার বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মো. তারেক, ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বুয়েটের কম্পিউটার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাজনীন ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবরকে রাখা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, সেগুলো যথাযথ আইন মেনে হয়েছে কি না—এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এসব জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকলের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এ ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান চূড়ান্ত হওয়ার আগে জালিয়াতির ঘটনা রোধে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচাই-বাছাই কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। জালিয়াতি রোধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।