প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিদলের সদস্যদের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে নিজ নিজ দেশের পক্ষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরুর পূর্বে দুই নেতা কিছু সময় একান্তে কথা বলেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা টাইগার গেইটে রাজাপাকসেকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে শেষে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশে রাজাপাকসে গতকাল শুক্রবার সকালে দুদিনের সফরে ঢাকা পৌঁছান।
পরে শুক্রবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন হোটেল সোনারগাঁওয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটে মাহিন্দা রাজাপাকসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ড. মোমেন।
এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক পদে ২০২৩ সালের জন্য এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০২৩-২৫ সালের জন্য বাংলাদেশি প্রার্থীর পক্ষে শ্রীলঙ্কার সমর্থন কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কার জোরালো সমর্থন আছে বলে মাহিন্দা রাজাপাকসে উল্লেখ করেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্বাক্ষরিত কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের জন্য ড. মোমেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে বলে মাহিন্দা রাজাপাকসে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, উপকূলীয় নৌ-পথ চালু, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি, বাংলাদেশি ওষুধ সামগ্রী শ্রীলঙ্কায় রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। এ সময় বাংলাদেশে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো শ্রীলঙ্কার স্থায়ী দূতাবাস নির্মাণের অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করে কারোনার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় বাংলাদেশ সফর করায় লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।