প্রেমিক নয়, অন্যের সঙ্গে সংসার করছিল ‘অপহৃত’ কিশোরী
মুন্সীগঞ্জ সদরের দক্ষিণ চরমুশুরা গ্রামের কিশোরীর (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে প্রতিবেশী কিশোরের। তাদের প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হলে মা-বাবার গালমন্দ আর বঞ্চনার কবলে পড়ে কিশোরী। একদিন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় সে। এতে তার পরিবার থানায় প্রেমিকের ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন।
স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার সালিশি ও দেনদরবার বসে। তাতে বরবারই কিশোরীর নিরুদ্দেশের সঙ্গে জড়িত না থাকার কথাই সাফ জানিয়ে আসে প্রেমিক ও তার পরিবার। এভাবেই পেরোয় চার মাস।
এরপর মেয়েকে না পেয়ে তার প্রেমিকসহ পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অপহরণ মামলা করেন বাবা। সম্প্রতি বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়। এতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ওই পরিবার।
এমনই রুদ্ধশ্বাস ঘটনার অবসান ঘটিয়ে স্বামীসহ কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। যদিও স্বামী হিসেবে পরোয়ানাভুক্ত ওই প্রেমিককে না, পাওয়া গেছে অন্য একজনকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে জেলার শ্রীনগর উপজেলার পাটাভোগ গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। বর্তমানে কিশোরী ও তার স্বামী সদর থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।
জানা গেছে, দুদিন আগে কিশোরী তার ফুপুর সঙ্গে মোবাইলে কল করে কথা বলে। পরে ওই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে কিশোরীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘১ নভেম্বর কিশোরী অপহরণের অভিযোগে প্রেমিকসহ পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন কিশোরীর বাবা। কয়েকদিন পর ওই মামলায় প্রেমিক ও পরিবারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ অবস্থায় পরিবারটি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার স্বামীসহ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে কিশোরী ও তার স্বামী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছে।