ফরিদপুর আওয়ামী লীগে ঐক্যের সুবাতাস
দীর্ঘদিনের কোন্দলসহ বিভিন্ন কারণে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ ছিল নেতায় নেতায় দ্বিধা বিভক্ত। এই দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগে এখন ঐক্যের সুর। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ফরিদপুর শহরের লাবলু সড়কে বিকেল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগের ডাকা সমাবেশ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে জেলার সব নেতা উপস্থিত হন। এ সময় সবার কণ্ঠে ঐক্যের কথা উঠে আসে। তাঁরা দলীয় ভেদাভেদ ভুলে একত্রে কাজ করার কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামীম হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একে আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন, মনিরুল হাসান মিঠু, ঝর্না হাসান, আইভি মাসুদ, শামছুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শাহ আলম মুকুল, অনিমেষ রায়, শওকত আলী জাহিদ, মনিরুজ্জামান মনির, আবু নাইম প্রমুখ।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য বিপুল ঘোষ বলেন, ‘এখন থেকে ফরিদপুর আওয়ামী লীগ হবে ঐক্যের আওয়ামী লীগ। আসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাই মিলে মিশে দল করি। গত ১২ বছর আমাদের মতো ত্যাগী নেতাদের নির্যাতন করে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। এখন সময় এসেছে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার।’
বিপুল ঘোষ বলেন, ‘এই বয়সে এসে আমরা কেউ আর বিভক্তি আনতে চাই না। আর যদি এটা না করতে পারি তাহলে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা সুযোগ সন্ধানীরা দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেবে। এই সুযোগটি তারা যাতে না পায়, এ জন্য ফরিদপুর আওয়ামী লীগকে গতিশীল হতে হবে।’
বিশাল এ সমাবেশে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সব শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। এ ছাড়াও এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।