ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক বহিষ্কার
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম জীবনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি-আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম জীবনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।’
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবল সাহা ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। গত ৭ জুন পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই মামলার আসামি হিসেবে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে সাজ্জাদ ও ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার উত্তরা এলাকার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে মানি লন্ডারিং মামলায় নিশান মাহমুদ শামীমকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এই আদেশ দেন।
এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান জানিয়েছেন, মানি লন্ডারিং মামলায় ঢাকায় নিশান মাহমুদ গ্রেপ্তার হলেও তাঁকে ফরিদপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর ওপর হামলা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে হওয়া অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ছাড়া তাঁকে ফরিদপুরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।